WBCHSE HS Semester Exam: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পুরনো সমস্ত নিয়ম বাতিল করে সেমিস্টার সিস্টেম আনলো শিক্ষা পর্ষদ। যদিও অনেকদিন আগেই এই তথ্য প্রকাশ হয়েছিল। পরীক্ষায় পাঠরত শিক্ষার্থীদের জন্য আরো নতুন একটি আপডেট এসেছে সামনে। জানা গেছে চলতি বর্ষ থেকে একাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হবে, কোন সেমিস্টারে ফেল করলে পরের সেমিস্টারে সেই নির্দিষ্ট পেপারের ওপর সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। তার সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেমন হতে পারে, উত্তরপত্র কেমন হতে পারে, প্রশ্নের প্রতি কত নাম্বার থাকছে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে উচ্চশিক্ষা পর্ষদ তরফ থেকে।
উচ্চমাধ্যমিকের সেমিস্টার (HS Semester Exam) পরীক্ষার নিয়ম-কানুন:
জানা গেছে মোট চারটি সেমিস্টার (HS Semester Exam) হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য। যার মধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র সংসদ থেকে করা হবে। এক্ষেত্রে তৃতীয় সেমিস্টার সেপ্টেম্বর মাসে চতুর্থ সেমিস্টার এপ্রিল মাসে হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর কোন তারিখ থেকে পরীক্ষা চলবে সেই বিষয়ে সংসদ তরফ থেকে খবর দিয়ে দেওয়া হবে। জানা গেছে তৃতীয় সেমিস্টারে মূলত MCQ এবং চতুর্থ সেমিস্টার SAC ও ব্যাখ্যামূলক ধাঁচের প্রশ্ন থাকবে।
শুধু তাই নয় লিখিত পরীক্ষায় এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় আলাদা আলাদা ভাবে পাস করতে হবে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় আলাদাভাবে ৩০ শতাংশ পেতে হবে শিক্ষার্থীদের। তৃতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টার গুলির পরীক্ষার জন্য ফাঁকা উত্তরপত্র এবং OMR শিট সংসদের তরফ থেকে দেওয়া হবে। পরীক্ষা শেষে লিখিত এবং প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী পাস করবে শিক্ষার্থীরা এবং তাদের মোট নম্বর নির্ধারিত হবে।
তৃতীয় চতুর্থ সেমিস্টারের প্রার্থীকে মোট পাঁচটি বিষয়ে পাস করতে হবে, যার মধ্যে বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে বাধ্যতামূলক পাস এবং অন্য তিনটি বিষয় পাশ করতে হবে। এই পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে প্রত্যেকটি বিষয় ৩০ শতাংশ করে নম্বর পেলেই পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে। এর মধ্যে যদি কোন শিক্ষার্থী তৃতীয় সেমিস্টারে কোন পেপারে ফেল করে তাহলে তাকে চতুর্থ সেমিস্টারের সেই পেপারটি পুনরায় সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে দিতে হবে।কলেজের সেমিস্টার নিয়ম অনুসারে যেমন ব্যাক লগ ক্লিয়ারেন্স করতে হয় ঠিক একই পদ্ধতি শিক্ষা বর্ষ ২০২৪ – ২৫ থেকে চালু করল উচ্চশিক্ষা পর্ষদ।
তৃতীয়- চতুর্থ দুটি সেমিস্টারের মধ্যে শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে বেশি নাম্বার পাবে সেই নম্বরটি চূড়ান্ত হিসেবে নির্বাচিত হবে। যেমন কোন শিক্ষার্থী যদি তৃতীয় সেমিস্টারে ইতিহাসে ৮৪ পায় আবার চতুর্থ সেমিস্টারের ইতিহাসে ৭৮ পায়। তবে তৃতীয় সেমিস্টার ইতিহাসে পাওয়া নাম্বারটি চূড়ান্ত গণ্য হবে। তৃতীয় চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত নম্বর নির্বাচিত হবে এবং সেই ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। এছাড়া কোন পরীক্ষার্থী যদি উচ্চ মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পর সাত বছরের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক (HS Semester Exam) সম্পূর্ণ না করতে পারে অর্থাৎ চাকরি সেমিস্টারি ক্লিয়ার না করতে পারে তাহলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে।