লেটেস্ট খবরসাফল্যের খবর শিক্ষার খবরঅফবিটটেক নিউজ

দারিদ্রতাকে জয় করে UPSC-তে সাফল্য, মাত্র 21 বছর বয়সে IAS অফিসার অটো চালকের ছেলে!

কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার দ্বারা যেকোনো গন্তব্যেই পৌঁছানো যায়, এবার তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলো আনসার শেখ। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতা ছিলো তাঁর নিত্যসঙ্গী। এমনকি ...

Published on:

কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার দ্বারা যেকোনো গন্তব্যেই পৌঁছানো যায়, এবার তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলো আনসার শেখ। ছোটবেলা থেকেই দারিদ্রতা ছিলো তাঁর নিত্যসঙ্গী। এমনকি নানাবিধ অভাব-অনটনের কারণে তার পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। কিন্তু হার না মানা আনসার, সমস্ত বাঁধাবিপত্তিকে পিছনে ফেলে নিজের স্বপ্নপূরণে অটল ছিলো সে। আজ সেই ফলস্বরূপ দেশের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম IAS অফিসারের তকমা ছিনিয়ে নিতে পেরেছে সে।

WhatsApp Group   Join Now
Telegram Group   Join Now

সারা ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় পাশ করতে হয় এই IAS অফিসার হতে গেলে। (UPSC) ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আয়োজিত এই পরীক্ষায় সফল হলে, তবেই IAS বা IPS এর মতো উচ্চপদস্থ সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হওয়া সম্ভব। IAS বা IPS অফিসার হওয়া বর্তমানে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের স্বপ্ন। আনসারও (IAS Officer Ansar Shaikh) তাঁদের মধ্যে একজন।

Ias Officer Ansar Shaikh
Ias Officer Ansar Shaikh

প্রত্যেক বছর লক্ষ্য লক্ষ্য ছেলেমেয়ে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেও, সেখানে আসন সংখ্যা দেখা যায় হাজারেরও কম। ফলে প্রতিযোগিতাও অনেকটাই বেশি। এবার সেই পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়ে দেশের কনিষ্ঠতম IAS অফিসার হিসেবে হাজারও পড়ুয়ার অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে এই প্রতিভাবান তরুণ যুবক আনসার শেখ।

জানা গেছে, পড়াশোনায় বরাবরই তিনি দারুন ছিলেন। মহারাষ্ট্রের জালনা এক গ্রামের নিম্নবিত্ত গরিব পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন অটোচালক এবং মা ছিলেন একজন কৃষি শ্রমিক। ফলত চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্য দিয়েই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। কিন্তু কখনই হার মানেননি আনসার। IAS অফিসার আনসার জানান, ছোটবেলায় তাঁর একবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতোও পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিলো। এবং সেসময় স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর বাবার সাথে কথা বলেছিলেন। আর তারপর থেকে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার মতো এমন কিছু আর কোনোদিন বলেননি তাঁর বাবা।

Ias Officer Ansar Shaikh
Ias Officer Ansar Shaikh

তিনি আরও জানান, স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের ওই মিড-ডে মিলই ছিলো ক্ষুদা নিবারণের একমাত্র পথ। তিনি দাদ্বশ শ্রেণিতে পড়াকালীন বোর্ডের পরীক্ষায় ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর পুনের ফার্গুসন কলেজ থেকে 73 শতাংশ নম্বর নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকত্তর হন। আর ঠিক সেসময় UPSC পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে পারলে, জোর কদমে চলে প্রস্তুতি। এইভাবে টানা তিন বছর প্রতিদিন 12 ঘন্টা করে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

About Author

Comments are closed.