Sitaram Jindal Scholarship: ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন স্কলারশিপ সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ।মাধ্যমিক পাশ করার পরেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে পড়ুয়ারা। সর্বোপরি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট লেভেল অবধি পড়ুয়ারা আবেদন জানাতে পারবে।
Sitaram Jindal Scholarship
শুধু সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাই নয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
এই স্কলারশিপ সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
Sitaram Jindal Scholarship
আবেদনের যোগ্যতা: আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। এছাড়া অন্যান্য স্কলারশিপে আগে থেকে নাম থাকলে আবেদন কড়া যাবে না। সর্বোপরি আবেদনকারীর বয়স ৩০ বছরের নিচে হতে হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে। যারা ITI পরীক্ষার্থী তাঁদের আগের পরীক্ষায় ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। এছাড়া বিএ, B.Com, বিএসসি, বিএফএ, বিসিএ, বিবিএ, বিবিএম স্নাতকস্তরের কোর্সগুলির আওতায় পাঠরতদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। যারা আবার M.A, M.Phil, M.Com, M.Lib কোর্সের আওতায় রয়েছে তাঁদের স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মেয়েদের ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া থাকতে হবে।
যেকোনো বিষয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষানবিশরা এবং মেডিকেল ফিল্ডে ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারবেন। আগের পরীক্ষায় ছেলেদের ৫৫ শতাংশ নম্বর এবং মেয়েদের ৫০% নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। যাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি, মেডিসিনে গ্র্যাজুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং পিজি কোর্স, মেডিসিন পিজি কোর্স করেছে আগের পরীক্ষায় ছেলেদের ক্ষেত্রে ৬৫% এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৬০% থাকতে হবে।
Sitaram Jindal Scholarship
আবেদনের নথিপত্র: আবেদনকারীর কাছে আগের পরীক্ষার মার্কশীট, পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট, ভর্তির রশিদ এবং আবেদনকারীরা যদি হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করছেন তাদের ক্ষেত্রে হোস্টেল ওয়ার্ডেনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
আবেদন পদ্ধতি: ইচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদন করতে হলে sitaramjindalfoundation.org -এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মটি পিডিএফ রূপে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর এই ফর্মটিকে প্রিন্ট করে সমস্ত তথ্য নির্ভুলভাবে পূরণ করে Sitaram Jindal Foundation, Jindal Nagar, Tumkur Road, Bangalore – 560 073 -এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
Sitaram Jindal Scholarship
স্কলারশিপে টাকার পরিমাণ: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্ররা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ৬০০০ টাকা এবং ছাত্রীরা প্রত্যেক মাসে ৭০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ৮,৪০০ টাকা অনুদান পেয়ে যাবে। যারা ITI পরীক্ষার্থী তাঁরা প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পেয়ে যাবে। অবশ্য এখানেও ভাগ করা আছে। সরকারি আইটিআই পড়ুয়ারা মাস প্রতি ৫০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ৬০০০ টাকা এবং বেসরকারি পড়ুয়ারা মাস প্রতি ৭০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ৮৪০০ টাকা অবধি পেয়ে যাবে।
বিএ, B.Com, বিএসসি, বিএফএ, বিসিএ, বিবিএ, বিবিএম স্নাতকস্তরের কোর্সগুলির আওতায় পাঠরত ছেলেরা মাস প্রতি ১১০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ১৩,২০০ টাকা এবং মেয়েরা মাস প্রতি ১৪০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ১৩,২০০ টাকা পেয়ে যাবে।
Sitaram Jindal Scholarship
M.A, M.Phil, M.Com, M.Lib কোর্সের আওতায় থাকা ছাত্রীরা মাস প্রতি ১৮০০ টাকা অর্থাৎ ২১,৬০০ টাকা এবং ছাত্ররা প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা অর্থাৎ বছরে ১৮,০০০ টাকা পেয়ে যাবে। এখানে আরও একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি, স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীরা এবং প্রাক্তন সেনা কর্মীর বিধবা স্ত্রী প্রত্যেক মাসে ১৮০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রতিবছরে ২১,৬০০ টাকা অনুদানরূপে পেয়ে যাবেন।
ডিপ্লোমা শিক্ষানবিশরা এবং মেডিকেল ফিল্ডে ডিপ্লোমাধারী ছেলেরা ২৮০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ৩৩,৬০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে যাবে। এছাড়া ছাত্রীরা প্রত্যেক মাসে ৩২০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ৩৮,৪০০ টাকার অনুদান পেয়ে যাবে। এরইসঙ্গে ডিপ্লোমা কোর্সের আওতাভুক্ত ছাত্রীরা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ১৪,৪০০ টাকা এবং ডিপ্লোমা কোর্সের অধীনে পাঠরত ছাত্ররা প্রতিমাসে ১,০০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রতিবছরে ১২,০০০ টাকা অনুদান হিসেবে পেয়ে যাবে।
Sitaram Jindal Scholarship
এবার আসা যাক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি, মেডিসিনে গ্র্যাজুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং পিজি কোর্স, মেডিসিন পিজি কোর্সের ক্ষেত্রে। ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিসিন কোর্সের আওতায় থাকা ছাত্রীরা প্রত্যেক মাসে ২৩০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ২৭,৬০০ টাকা এবং ছাত্ররা প্রত্যেক মাসে ২,০০০ টাকা অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ২৪,০০০ টাকার অনুদান হিসেবে পেয়ে যাবে।
এছাড়া গ্রাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের আওতাধীন ছাত্ররা প্রতি মাসে ২,৫০০ টাকা অর্থাৎ প্রতিবছরে ৩০,০০০ টাকার অনুদান পাবে। ছাত্রীরা মাস প্রতি ৩০০০ টাকা করে অর্থাৎ প্রত্যেক বছরে ৩৬,০০০ টাকার অনুদান পেয়ে যাবে।