লেটেস্ট খবরসাফল্যের খবর শিক্ষার খবরঅফবিটটেক নিউজ

Motivational Story: হারিয়েছেন লাখ টাকার চাকরি! তবুও জীবন যুদ্ধে হার না মেনে কালবৈশাখীর ঝড়কে উপেক্ষা করেও বাসন্তী পোলাও চিকেন কষা বিক্রি করছেন

Updated on:

WhatsApp Group   Join Now

Motivational Story: জীবন যে আসলে মানুষকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায় তার এক জলজন্ত্র প্রমাণ সন্দীপ দাশগুপ্ত। নামটা অচেনা অজানা মনে হলেও তার জীবনের গল্প শুনবে তাকে স্যালুট করতে বাধ্য হবেন আপনিও। আর সেই সঙ্গে পাশে থাকা ভরসার হাতের কতটা প্রয়োজনীয়তা সেটাও উপলব্ধি করতে পারবেন। সম্প্রতি এক ফুড ব্লগারের দৌলতে তার জীবনের সেই না জানা কথা উঠে আসে। একসময় ছিলেন বিখ্যাত এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে এখন তিনি বাসন্তী পোলাও ও চিকেন কষা বিক্রি করেন। চাকরি চলে গেছে, তাই বলে তো আর হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা মোড়ে রয়েছে তার দোকান গোল্ডেন বাসন্তী পোলাও।

একসময় সন্দীপ দাশগুপ্ত রীতিমতো ট্রেনিং নিয়ে পড়াশোনা করে হয়ে উঠেছিলেন একজন এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনিয়ার। জেট এয়ারওয়েজের কর্মরত ছিলেন তিনি। লাখ টাকা বেতন পেতেন ছিল বাড়ি গাড়ি। এরমধ্যে পরিচয় হয় সোনালীর সঙ্গে। তাকে বিয়ে করে সুখেই চলছিল সংসার। এমন সময় বাবা আক্রান্ত হন বোন ম্যারো ক্যান্সারে। কর্কট রোগের থাবায় সুখের সংসারে আসে অন্ধকারের কালো ছায়া। জলের মতন টাকা খরচ করেও বাঁচানো যায়নি বাবাকে। কয়েকদিনের মধ্যে মাও গত হন। চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও একটু একটু করে উঠে দাঁড়ানোর বাসনা ছিল তার। কিন্তু সেটা মুহূর্তের মধ্যে তছনছ হয়ে যায় কারণ বন্ধ হয়ে যায় জেট এয়ারওয়েজ। কাজের খোঁজে সৌদি আরবে যেতে হয় একটা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে।

কিন্তু সেখান থেকেও ফিরে আসতে হয় করোনা কালীন সময়ে। সব দুয়ার বন্ধ ৪০ বছর বয়সে একটা মানুষ এতগুলো ডিগ্রি নিয়ে চাকরির জন্য ঘুরছেন। সেই সময় পাশে এসে কাঁধে হাত রাখেন স্ত্রী সোনালী সেনগুপ্ত। বরাবর রান্নার হাত ছিল তার তুখর। স্বামীর পাশে দাঁড়াতে তিনি রন্ধন শিল্পকে কাজে লাগালেন। চিকেন কষা এবং বাসান্তি পোলাও তৈরি করে বিক্রি শুরু করলেন দুজনে। সবার অলক্ষে স্বামীর পাশে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আজ ১০০ জনের রান্না করেন সোনালী দেবী। অর্ডার আসলে তাদের পছন্দ মতন বানিয়ে দেন মটন কষা, পোস্ত, পনির। এভাবেই আবার মসৃণ গতিতে চলতে শুরু করে তাদের জীবন।

ছেলে মেয়ের পড়াশোনা থেকে ঘর ভাড়া দেওয়া সবটাই চালিয়ে যাচ্ছেন সন্দীপবাবু এবং সোনালী দেবী। বউয়ের নামে নামকরণ করেছেন তার সাধের হোটেলের। প্রতিদিন কত শত মানুষ আসছেন খাচ্ছেন কিন্তু সন্দীপবাবুর জীবনের গল্পটা শুনতে পাচ্ছেন না কেউ। ভেঙে না পড়ে উঠে দাঁড়ানোর জন্য একটা শক্ত হাত যে লাগে তা বারবার জানান দিচ্ছে সন্দীপ ও সোনালীর এই হোটেল।

আরও পড়ুন: NRS Medical College: শিশুর বিরল রোগে সাড়ে সতেরো কোটির ওষুধ! বিনামূল্যে দিল NRS মেডিকেল কলেজ!

About Author
Dikshita Gain

বিগত প্রায় ২ বছর ডিজিটাল মিডিয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত। যে কোনো ধরনের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।