আমরা এখন যে প্রজম্মে আছি দাঁড়িয়ে, সেখানে সর্বক্ষণ কম্পিটিশন ছাড়া আর কিছুই না। আর তাই পড়াশোনা শেষ করেই শুরু করেদিতে হয় একটা ভালো চাকরির খোঁজ। সেখানে দেখা যায় কেউ দৌড়ে বেড়াচ্ছে সরকারি চাকরির পেছনে তো কেউ আবার বেসরকারি চাকরির দিকে। আবার এদের মধ্যেই কেউ কেউ 10-5 টার নিশ্চিন্ত চাকরিতেই খুশি, কেউ আবার জেনেবুঝে বেছে নিচ্ছে নানান ঝুঁকির রাস্তা। আজকের এই প্রতিবেদনে ঠিক এমনটাই বেছে নেওয়া বছর16- এর এক যুবকের। নাম দিগবিজয় সিং (Digvijay Singh)।
যে সাধারণ একটা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে, নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে তার আয় কোটি কোটি টাকা। আমরা সকলেই জানি, যে করনার মতো মহামারীর জেরে ঘরবন্দী হতে হয়েছিলো আমজনতাকে। এবং তখন বাড়িতে বসে কিছুতেই সময় কাটানো সম্ভব হচ্ছিলো না আমজনতার। আর যার ফলে অনেকেই বেছে নিয়েছিলেন গার্ডেনিং, পছন্দের রান্নাবান্না ইত্যাদি। আর সেগুলি তৈরি করে আপলোডও করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ আবার সেই সময়ে বেছে নিয়েছিলেন বিভিন্ন ধরনের মোটিভেশনাল ভিডিওর চ্যানেল। আর এত সবকিছুকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে দেখা গেলো, উদয়পুরের যুবক দ্বিগবিজয় সিং (Digvijay Singh) কে।
![বাবা চালাতেন অটো, মাত্র 16 বছর বয়সেই বুদ্ধির জোরে আজ সফল ব্যবসায়ী দ্বিগবিজয় সিং 2 Digvijay Singh](https://bengaliexpress.com/wp-content/uploads/2023/09/Digvijay-Singh2.png)
জানা গেছে, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা এই যুবক নিজের বাড়িতে বসেই চকোলেট বানানোর কথা চিন্তা-ভাবনা করেন । প্রথম দিকে যদিও বুঝে উঠতে পারেননি দ্বিগবিজয় কীভাবে বানাবেন এই চকোলেট। ফলে তাকে ইউটিউবের সাহায্য নিতে হয় । এরপর ঝুঁকি নিয়ে চকলেট বানিয়ে, প্রথমে তিনি তার পরিবার এবং বন্ধুদের উপহার দিয়েছিলেন। এবং সকলেই সেটা বেশ পছন্দও করেছিলেন। আর এরপর থেকেই তিনি একটা কোম্পানি খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
![বাবা চালাতেন অটো, মাত্র 16 বছর বয়সেই বুদ্ধির জোরে আজ সফল ব্যবসায়ী দ্বিগবিজয় সিং 3 Digvijay Singh](https://bengaliexpress.com/wp-content/uploads/2023/09/Digvijay-Singh1.png)
এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ফল ও বিভিন্ন মসলার ব্যবহার করে চকোলেট তৈরি করেন দ্বিগবিজয় সিং (Digvijay Singh)। বর্তমানে শুধুমাত্র উদয়পুরেই নয়, দেশের যেকোনো প্রান্তে বসেই মানুষ খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন এই চকোলেট অনলাইনের মাধ্যমে। সূত্রের খবর, সল্প কিছু টাকাপয়সা বিনিয়োগ করেই যে চকোলেটের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি, আজ সেই চকোলেটই তাঁকে মাসে এনে দিচ্ছে প্রায় কয়েক কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় 2 টনেরও বেশি চকোলেট।
দ্বিগবিজয়ের বাবা পেশায় একজন অটোচালক। কিন্তু তাঁর ছেলের সপ্ন ছিলো বরাবরই কিছু একটা করে দেখানোর। শত প্রতিকূলতা আসা সত্বেও হার মানতে রাজি নন দ্বিগবিজয় সিং। করোনার সময়কালে লকডাউনই তাঁকে এনে দেয় এমন সুযোগ। তারপর থেকে বাড়িতে চুপচাপ হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে এই ব্যবসা করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে রমরমিয়ে চলছে তাঁর এই চকোলেটের ব্যবসা। এবং ছেলের এমন উদ্যোগ দেখে আনন্দিত তার গোটা পরিবার।