Jeevan Labh Policy: যেকোনো বিমার কথা উঠলে জনসাধারণের মাথায় প্রথমেই আসে এলআইসি-র নাম কারণ এটি একটি সরকারি বিমা সংস্থা,ফলে বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ নিরাপদের একটি জায়গা কারণ প্রায়ই এখন টাকা পয়সা নিয়ে প্রতারণার খবর শোনাই যায় ,তাছাড়া গ্রাহকদের জন্য অনেক ধরনের পলিসি রয়েছে এলআইসির ক্ষেত্রে। এলআইসির একটি জনপ্রিয় পলিসি হল ‘জীবন লাভ পলিসি’ (Jeevan Labh Policy)। মূলত এটি একটি এনডাউমেন্ট পলিসি, অর্থাৎ এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে গ্রাহক বিমা করার পাশাপাশি সঞ্চয় সুবিধাও উপভোগ করতে পাবেন এবং সব থেকে বড় সুবিধার রয়েছে যে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে না জনগণকে।
Jeevan Labh Policy Details:
২০২০ সাল থেকে চালু হয় এলআইসি-র জীবন লাভ পলিসি যেখানে সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় কিন্তু সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। সাধারণত বিনিয়োগকারী ১৬ বছর, ২১ বছর এবং ২৫ বছর মেয়াদে এই পলিসিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রিমিয়াম জমার সময়কাল ১০ বছর, ১৫ বছর এবং ১৬ বছর। মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।সর্বনিম্ন ৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তি জীবন লাভ পলিসিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। ৫৯ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি ১৬ বছর মেয়াদে জীবন লাভ পলিসি নিতে পারবেন।
এর নিয়ম হল, স্কিমের ম্যাচিউরিটির সময় কোনও পলিসি হোল্ডারের বয়স যেন ৭৫ বছরের বেশি না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে।২৫ বছর বয়সী কোনও ব্যক্তি যদি এলআইসির জীবন লাভ পলিসি নেন তাহলে মেয়াদপূর্তিতে তিনি ৫৪ লাখ টাকার বেশি পাবেন। বিমার জন্য ২০ লাখ টাকা বেছে নিতে হবে।এই ক্ষেত্রে প্রতি বছর ৯২,৪০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৭,৭০০ টাকা এবং প্রতিদিনের হিসেবে ২৫৩ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এরপর জীবন লাভ পলিসি ম্যাচিউর করলে তিনি ৫৪.৫০ লক্ষ পাবেন।
ম্যাচিউরিটির আগে এলআইসি জীবন লাভ পলিসিতে বিনিয়োগকারী ব্যক্তির দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হলে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও পলিসি হোল্ডার যদি মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত বেঁচে থাকেন তাহলেও মোটা অংকের টাকা দেয় এলআইসি। তাছাড়া জীবন লাভ পলিসির ঋণও নিয়েও সাহায্য উপভোগ করতে পারেন গ্রাহকরা।