Surabhi Gautam: অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রমের জেরে মানুষ যে উন্নতির শিখরে পৌঁছে যেতে পারে তাঁর প্রমাণ আইএএস অফিসার সুরভি গৌতম (Surabhi Gautam)। ছোট থেকেই বড় কিছু স্বপ্ন দেখতেন সুরভি। কিন্তু স্কুল কলেজে পড়াকালীন প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইংরেজি বলতে না পারা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম আমদারার সেই মেয়েই আজ আইএএস অফিসার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজেকে।
ছোট থেকে একান্নবর্তী পরিবারেরই বড় হয়ে ওঠা সুরভি (Surabhi Gautam) পড়াশোনা করেছেন গ্রামের এক হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে। দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন সিভিল সার্ভিসে যোগদানের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুরভি। প্রস্তুতিও নেন সেই সময় থেকেই। সকলকে চমকে দিয়ে দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট করেন সুরভি।
এরপর থেকে নিজের লক্ষের পথে আরও আর এক ধাপ করে এগিয়ে যান তিনি। সুরভি জীবনে যে বড় কিছু করবে বরাবরই সেই স্বপ্ন দেখতেন তাঁর গ্রামের লোকজন।ছোট থেকেই গ্রামের মানুষের উন্নতির কথা ভেবে গ্রামে ভালো ওষুধের দোকানের অভাব বা বিদ্যুতের অভাব দূর করতে চাইতেন সুরভি।
সুরভি গৌতমের (Surabhi Gautam) আইএএস হওয়ার গল্প রূপকথাকেও হার মানাবে:
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাইরে পা রাখলেও কলেজে ভর্তি হওয়ার পরই এক বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। কলেজে পড়াকালীন তার সহপাঠীদের অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন সুরভি। কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকের করা সহজ একটি প্রশ্নের উত্তর ইংরাজিতে দিতে না পারার পর থেকেই জীবনে নতুন চ্যালেঞ্জ নেন তিনি।
ইংরেজি ভাষার উপর জোর দিতে শুরু করেন সুরভি। শেষ পর্যন্ত গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। শুধু তাই নয় চ্যান্সেলর স্কলারশিপও পেয়েছিলেন সুরভি। গেট, ইসরো, স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড, মধ্যপ্রদেশ স্টেট পাবলিক কমিশনের পরীক্ষায় বসে দফায় দফায় উত্তীর্ণ হন তিনি (Surabhi Gautam)। পরবর্তী কালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়ে সারা দেশব্যাপী ৫০ র্যাঙ্ক করে প্রথম গুজরাটে কাজে যোগদান করেন।
খবর সবার আগে জানতে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ । আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল এ।