IAS: জীবনে সাফল্য অর্জন করতে গেলে কঠোর পরিশ্রম আর নিজের লক্ষ্যকে স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলেই দেখা যাবে কোনো বাঁধাই বাঁধা নয়। আজ এমনই এক লড়াকু ছেলের জীবন কাহিনী বলা হলো। স্কুলের মিড ডে মিল রান্নার কাজ করেন মা। কারণ বাবাকে হারিয়েছেন অনেক ছোটবেলায়। আর তাই সংসারের হাল ধরা ও ছেলের পড়াশোনা চালালোর জন্য তাঁর মা কেই সমস্ত দায়দায়িত্বর ভার মাথায় নিতে হয়েছিলো।
কথায় আছে অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর চেষ্টা থাকলে কোনো কাজই কঠিন নয়। আর তাই এবারও দারিদ্রতাকে দমিয়ে রেখে জয়লাভ করলো শিক্ষা। ছোটো বেলা থেকেই তাঁর জন্যে তাঁর মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের যোগ্য জবাব দিতে পারলেন আজকের আইএএস অফিসার ডোংরে রেভাইয়াহ (IAS Officer Dongre Revaiah)।
তেলেঙ্গানার একটি ছোট্ট শহরে জন্মে ছিলেন ডোংরে রেভাইয়াহ। ডোংরে রেভাইয়াহ এর জীবনটা আর পাঁচজন সাধারণ ছেলে মেয়ের মতো খুব একটা সহজ ছিলোনা । ছোটবেলাতেই বাবাকে হারিয়েছিলেন। বাবা ছিলেন তাঁদের সংসারের একমাত্র রোজগারী মানুষ। আর তাই বাবা মারা যাওয়াতে গোটা সংসারটার দায়িত্ব এসে পরে তাঁর মায়ের কাঁধে। গোটা সংসার সাথে ছেলের পড়াশোনা সবমিলিয়ে এক টালমাটাল পরিস্থিতির শিকার হয় ডোংরে রেভাইয়াহর পরিবার (IAS Officer Dongre Revaiah)। তাই অগত্যা স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করতে হয় তাঁর মা কে।
ডোংরে রেভাইয়াহ (IAS Officer Dongre Revaiah) জানিয়েছেন, তাঁর মা শতকষ্ট সত্বেও অদম্য পরিশ্রম করে যেতেন। যাতে তাঁর সংসার ও ছেলের পড়াশোনার ওপর কোনো বাঁধা না এসে দাঁড়ায়। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন ডোংরে রেভাইয়াহ। ফলে স্কুলের গণ্ডি পাড় করেই আইআইটি এন্ট্রান্স পাস করে ভর্তি হয়েছিলেন আইআইটি মাদ্রাজে। একদিকে পড়াশোনা অপর দিকে সংসারে খরচের পাহাড়, এইমত পরিস্থিতিতে আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন। আর এই ভাবেই আইআইটি গ্রাজুয়েট পাস করে দেশের অন্যতম কঠিন গেট পরীক্ষায় বসে, হায়দ্রাবাদে পেয়ে যান মোটা অঙ্কের মাইনের চাকরি।
এরপর তাঁর কর্মজীবনের সাফল্যের পথ দ্রুত এগোলেও, কোথাও যেন IAS অফিসার হওয়ার এক আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন হাতছানি দিয়ে ডাকে তাঁকে। আর তাই চাকরি করার পাশাপাশি তিনি পড়াশোনাও চালিয়ে যেতেন। অবশেষে 2022 সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসে প্রথমবার গোটা দেশের মধ্যে 410 ব়্যাঙ্ক করে রীতিমতো চমক লাগিয়ে দেন সকলকে।