লেটেস্ট খবরসাফল্যের খবর শিক্ষার খবরঅফবিটটেক নিউজ

বোর্ডে সৌরভকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারলেন’ ইনিই! মহারাজকে ‘হেনস্তা’ করার মাস্টারমাইন্ড কে চিনুন

Published on:

WhatsApp Group   Join Now

সুপ্রিমকোর্টের কুলিং অফ নিয়মে শিথিলতার পরে সৌরভ মনে মনে নিশ্চিত ছিলেন যে তিনিই আরও একবার বোর্ডের সভাপতি আসনে বসবেন। তবে গত মঙ্গলবারে বৈঠকে সমস্ত পরিস্থিতি আচমকা ইউ-টার্ন নিয়ে নেয়। সৌরভ আচম্বিত বদলের আন্দাজ আগে থেকে পাননি। আর সেই বৈঠকেই সৌরভকে সভাপতির চেয়ার খালি করার কথা বলা হয়। বোর্ডের তরফ থেকে কোনও ব্যাকিং না পেয়ে বৈঠকেই মুষড়ে পড়েন সৌরভ গাঙ্গুলী।

টেলিগ্রাফ-এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সৌরভের বিরূদ্ধে বোর্ড মিটিং এ সবথেকে সরব ছিলেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। তিনি সৌরভ গাঙ্গুলীর সভাপতিত্ব কে সরাসরি নন-পারফর্মার বলে দেন। চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক এন শ্রীনিবাসন বোর্ডের বৈঠকে এসেছিলেন তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে। বোর্ডের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এমনিতেই এন শ্রীনিবাসন বিসিসিআইয়ের রাজনীতি সম্পর্কে

ভালোরকম ওয়াকিবহাল কারণ একসময় বোর্ড চলত তাঁর অঙ্গুলিলেহনে। শ্রীনিবাসন এবারে সৌরভকে সরিয়ে বোর্ডে সভাপতি পদের জন্য রজার বিনির নাম প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবে বোর্ডের বাকি মেম্বাররা মত দেন। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাবলি শুরু হয়ে যায়, সৌরভকে সরিয়ে আসল মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে গেলেন এন শ্রীনিবাসনই।

সৌরভের বোর্ডের মেয়াদকাল ছিল ঘটনাবহুল। একাধিক ক্ষেত্রে বোর্ডে তার নেতিবাচক কারণে জন্য তিনি শিরোনামে উঠে এসেছে। যেমন সৌরভ নিজে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েও বোর্ডের স্পনসর সংস্থার বিরোধী কোম্পানির ব্র্যান্ডে এন্ডোর্সমেন্ট করেছেন। এছাড়াও তিনি আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালস দলের মালিক জেএসডব্লিউ গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার পরে স্বার্থ-সংঘাতের ইস্যুতে জড়িয়ে পড়েন।

প্রশ্ন ওঠে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হয়েও কীভাবে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষে পরোক্ষ ভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার চালাতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে এটিকে মোহনবাগান নামক ফুটবল বোর্ডের মেম্বার পদে থাকার জন্য ফের একবার স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্নে জড়িত হন। তখন তিনি আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মেম্বার পদ ছাড়তে বাধ্য হন।

২০২০ তে আইপিএল টুর্নামেন্ট করোনায় যেভাবে ছারখার হয়ে গিয়েছিল তাতে সৌরভের সভাপতিত্ব বোর্ডের প্রশ্নের মুখে পড়ে। তবে বোর্ডে সৌরভ জমানার সবথেকে বিতর্কিত বিষয় ছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে সংঘাত। সৌরভ জানিয়েছিলেন তার তরফ থেকে টি২০ নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বিরাট কোহলিকে।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রওনা হওয়ার ঠিক আগেই কোহলি প্রকাশ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বলেন, তাকে একবারের জন্যও নেতৃত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়নি। এই কারণের জন্য বোর্ডের সঙ্গে কোহলির একটি বিদ্বেষ তৈরি হয়।ঋদ্ধিমান সাহাও প্রকাশ্যে সৌরভের বিপক্ষে মুখ খোলেন। সবমিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এইসব ঘটনাগুলি বোর্ড মিটিংয়ে ঝড় হয়ে আছড়ে পড়ে সৌরভের বিরুদ্ধে।

About Author